তানোরে বিএনপির সাংবাদিক সম্মেলন
আপডেট সময় :
২০২৪-১২-১৮ ১৯:২০:১৫
তানোরে বিএনপির সাংবাদিক সম্মেলন
দেলোয়ার হোসেন সোহেল পৌর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোর পৌর সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে একটি মহল তার জনপ্রিয়তায় ঈষার্নিত হয়ে এবং রাজনৈতিক"সামাজিক ভাবে হেয় করতে প্রতিনিয়ত অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র বন্ধে তানোর উপজেলা বিএনপি সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সাংবাদিক সম্মেলন।
চলতি মাসের ১৮ ডিসেম্বর (বুধবার)দুপুরে তানোর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান হান্নান তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন...আপনারা অবগত আছেন যে, গত ৫ আগষ্টে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পর স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের শাসনামল থেকে রাজশাহীর তানোর উপজেলাসহ পুরো বাংলাদেশ মুক্তি লাভ করে। বিগত দিনে, এই তানোর উপজেলায়সহ রাজশাহী জেলা জুড়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাস্তবায়নের জন্যে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন যে কয়জন, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বর্তমান রাজশাহী জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য ও বারবার কারা নির্যাতিত নেতা জনাব মিজানুর রহমান মিজান।
তিনি প্রায় ১৭ বছর ধরে বিগত ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগের শত বাঁধা পেরিয়ে তানোর উপজেলা ও জেলা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। এসময়ে তাঁর বিরুদ্ধে ২৭টি মিথ্যা ও গায়েবি রাজনৈতিক মামলা করা হয়েছিল। এমনকি ৯ বার দীঘ মেয়াদে জেল খেটেছেন তিনি। তাঁকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে না পেরে তার নামে থাকা পুকুর দখল ও তাঁর বরেন্দ্র ক্যাবল ডিস লাইন বিভিন্ন জায়গায় দখল করে নিয়েছিলো তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার দলীয় নেতারা। আবার ২০১৫ সালে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে শতপ্রতিকূলতা মাড়িয়ে মেয়র পদে নির্বাচিত হওয়ার পরও মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে তখন জেলে পাঠানো হয়েছিলো। মামলা-হামলায় জর্জরিত হলেও তিনি বিএনপির আদর্শ ত্যাগ করিনি কখনো। রাতের পর রাত বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি গ্রেপ্তার আতঙ্কে। তবুও হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রতিটি নির্দেশনা শত প্রতিকূলতা স্বত্তেও সফলভাবে পালন করেছেন মিজানুর রহমান মিজান।
বিগত ৫ আগস্টের আগে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এবং আন্দোলন দমাতে পুনরায় রাতের অন্ধকারে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মিজানুর রহমান মিজান কে তবে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি জামিনে মুক্ত হন এবং তানোর উপজেলা ও পৌর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক সকল ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম থেকে আগলে রাখেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চান্দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বলেন, জেলা বিএনপির সদস্য রাজনৈতিক দূরদর্শি কারণে প্রয়াত বিএনপির নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ভাই বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) শরিফ উদ্দিন কে সামনে রেখে তানোর উপজেনার দুই পৌরসভা ও সাত ইউনিয়ন বিএনপির মধ্যে মনোমালিন্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ করতে থাকেন। ঠিক এমন সময়ে গুটি কয়েক দলছুট ও সুবিধাবাদীরা মিলে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুর পর হঠ্যাৎ করে প্রায় ১০/১৫টি বিলাশবহুল মাইক্রো গাড়ি ভর্তি বহিরাগতদের নিয়ে তানোরে আসেন ব্যবসায়ী ও গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সদস্য সুলতানুল ইসলাম তারেক। আর তাদের আচমকা উপস্থিতি দেখে তানোর পৌর বিএনপির আহবায়ক একরাম আলী মোল্লা সহ আরও উপজেলা ও পৌর বিএনপির মূল ধারার একাধিক নেতারা তাদের এভাবে আসার কারণ জানতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী হয়ে উঠেন।
এমতাবস্থায় উপস্থিত কয়েকজন নেতাদের সাথে তাদের কথাকাটিও হয়। তারপর তারা থানা মোড়ে হঠ্যাৎ করে ফিল্মি স্টাইলে পথসভা করে চলে যায়। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, সুলতানুল ইসলাম তারেক নামে ওই ব্যবসায়ী নেতা নাকি এই আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন কিনে আনবে এবং ভোট করবে। আর সে জন্যই তিনি এর আগেও সহ ১৫ ডিসেম্বর পুনরায় শো-ডাউন করতে এখানে এসেছিলেন এবং তিনি নাকি বাধাইড় একটি ইসলামি জালসায় যাচ্ছিলেন। তবে এঘটনার দু'দিন পর আবারও হঠাৎ করে রাজশাহীর একটি রেস্তোরাঁয় জমকালো ভাবে সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র বারবার কারা নির্যাতিত মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপপ্রচার চালানো হয়।
মূলত ওই সংবাদ সম্মেলনে যে ঘটনার যে দিন উল্লেখ করা হয়েছে, সেদিন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিজান তাঁর ব্যবসায়ীক ও দলীয় জরুরি কাজে ঢাকাতে অবস্থান করছিলেন। আবার তাঁর ভগ্নিপতি উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রহমান হাবীবকে নিয়ে ও তাঁর দলীয় যে পদ উল্লেখ করা হয়েছে তাও সঠিক নয়। মূলত গুটিকয়েক দলছুট ও নিষ্ক্রিয় নেতাদের মোটা টাকার বিনিময়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে বসিয়ে তাঁদের দিরে মিথ্যা ছড়ানো হয়েছে।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তানোর উপজেলা সাবেক কৃষক দলের সদস্য সচিব আব্দুল মালেক তিনি বলেন,তানোরে আঁতাতের রাজনীতি করে যারা এতোদিন চলেছে, তাঁরা আজ আমাদের তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের কাছে অনৈতিক সুবিধা করতে না পেরে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও ভীত্তিহীন কথাবার্তা রটিয়ে বেড়াচ্ছে। তাছাড়া ১৭ ডিসেম্বর রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ডিপ টিবওয়েল দখল ও টাকা উত্তোলন, পুকুর দখল, ডিস লাইন দখল যে সকল কথা উল্লেখ করা আছে তা সবকিছু ভুলে ভরা। হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, গতদিন ১৭ ডিসেম্বর যারা এই সম্মেলন করেছে, তারাই আবার চলতি বছরের আগষ্ট মাসে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপপ্রচারের এসব ঘটনা মিথ্যা বলে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছিল। অথ্যাৎ, তাঁদের সাথে থাকলে সঙ্গী আর না থাকলেই অপপ্রচার। তাই আমরা তানোর উপজেলা, তানোর ও মুন্ডুমালা পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরর নেতাকর্মী আজ তানোর উপজেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজশাহী জেলা বিএনপির নিকট আকুল আবেদনা এই মিথ্যা ও অপপ্রচার কারীদের নির্দেশ দাতা সহ সহযোগিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নিয়ে দল থেকে বহিষ্কারের জোরালো দাবি জানাচ্ছি।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন পাঁচন্দর ইউপি বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনারা জাতির বিবেক সত্য মিথ্যা যাচাই করে খবর প্রকাশ করবেন এবং দেশ সংস্কার করার কাজে সরকারকে সহযোগিতা করবেন এটাই আমাদের আশা।
সাংবাদিক সম্মেলনে তানোর উপজেলার ২ টি পৌরসভা ও ৭ টি ইউনিয়নের সকল নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স